এবার ইউক্রেনের সঙ্গে ১০ বছরের নিরাপত্তা চুক্তি সই করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এটিকে ন্যাটোয় ইউক্রেনের সদস্য হওয়ার পথে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ বলে উল্লেখ করা হয়েছে চুক্তিপত্রে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, এ চুক্তিতে কিয়েভের সামরিক বাহিনীকে প্রশিক্ষণ, ইউক্রেনকে অস্ত্র উৎপাদনে সহযোগিতা বৃদ্ধিসহ অন্যান্য সহায়তা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
এর আগে, ইউক্রেন ও জাপানের মধ্যেও নিরাপত্তা চুক্তি স্বাক্ষর হয়। এদিকে জব্দ করা রুশ সম্পদের অর্থ থেকে ইউক্রেনকে পাঁচ হাজার কোটি ডলার ঋণ দিতে রাজি হয়েছেন জি-৭ নেতারা। পশ্চিমা দেশগুলোতে স্থগিত করা রাশিয়ার সম্পদের মুনাফা থেকে চলতি বছরের শেষ নাগাদ এই ঋণ দেয়া হবে।
যা প্রতিরক্ষা, বাজেট সহায়তা এবং পুনর্গঠনে ব্যয় করবে কিয়েভ। মস্কোকে অর্থনৈতিক চাপে ফেলতেই এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। তবে এমন সিদ্ধান্তের পরিণতি কঠোর হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
গতকাল বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) ইতালির দক্ষিণাঞ্চলীয় পুগলিয়ায় শুরু হয় শিল্পোন্নত সাত দেশের জোট জি-সেভেনের ৫০তম সম্মেলন। তিন দিনব্যাপী সম্মেলনে একে একে যোগ দিয়েছেন সদস্য দেশগুলোর সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানরা। তাদের স্বাগত জানান আয়োজক দেশ ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি।
জোট সদস্যের বাইরেও আমন্ত্রণ জানানো হয় তুরস্কের প্রেসিডেন্ট, ভারতের প্রধানমন্ত্রী, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টসহ বেশ কয়েকটি দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানকে। এবারের সম্মেলনে আলোচ্য বিষয়গুলোর মধ্যে আফ্রিকা ও ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলের নিরাপত্তা, ইউক্রেনকে সহায়তা ও মধ্যপ্রাচ্যের গাজা ইস্যু অগ্রাধিকার পাচ্ছে। প্রথমদিনই রাশিয়াকে মোকাবিলায় ইউক্রেনের জন্য সমর্থনের বিষয়টি ছিল আলোচ্যসূচির শীর্ষে।
এদিকে জোটের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। যদিও বর্তমানে স্থগিত থাকা তহবিল ভবিষ্যতে রাশিয়া ব্যবহার করার অধিকার পেলে, তখন কিয়েভের জন্য দেয়া জি-সেভেনের এই ঋণ পরিশোধ করা নিয়ে জটিলতা দেখা দেবে।